সংস্কারের অভাবে গলাচিপা খালটি এখন মরা, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
বিএনপির শোক মিছিলে হামলা: রিমান্ডে হাসানাতপুত্র মঈন আব্দুল্লাহ খুনি হাসিনার পুনর্বাসন, জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করবে শহীদ ফাউন্ডেশন: সারজিস আলম নতুন কমিশনের দায়িত্ব ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা: রাষ্ট্রচিন্তা পরিষদ মহিপুরে নসিমনের চাপায় প্রান গেলো গৃহবধূর পিরোজপুরে শতবর্ষী বৃদ্ধ ও ছাত্রীর আত্মহত্যা কুয়াকাটায় ২ কেজির ইলিশ, রেকর্ড দামে বিক্রি জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে জামায়াত, কাদের সঙ্গে জোট জানালেন সেক্রেটারি পশ্চিমাদের উসকানির ফল ভয়াবহ হবে: পুতিনের হুঁশিয়ারি ডুয়েটে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে দুশ্চিন্তায় বানারীপাড়ার মারিয়া প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বরিশালে মতবিনিময় সভা




সংস্কারের অভাবে গলাচিপা খালটি এখন মরা, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

সংস্কারের অভাবে গলাচিপা খালটি এখন মরা, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ




নিয়ামুর রশিদ শিহাব, গলাচিপা(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা: সংস্কারের অভাবে গলাচিপা পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি এখন ২০ হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য অন্যতম খাল হওয়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু খালটির মাঝখানে একটি বাঁধ ও আশপাশের জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চরম বিপাকে রয়েছে জনসাধারণের। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ চরমে পৌছে।

 

জানা গেছে, শতাধিক বছরের আগে থেকে গলাচিপা বন্দরে চলাচলের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে খালটি বেশ পরিচিত ছিল। এটি গলাচিপা রামনাবাদ নদী থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রের বুক চিরে উলানিয়া বন্দরের তেতুলিয়া নদীর সাথে মিশেছে। বিচ্ছিন্ন এ এলাকার যোগাযোগের জন্য ব্যস্ততম খাল ছিল এটি। ওই সময় এ খাল দিয়ে প্রতিদিন বড় বড় নৌকা যাতায়াত করত।

 

এক একটি নৌকায় ৫শ থেকে ১৫শ মন ধান-চাল বোঝাই করে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হতো। তখন মাঝি মাল্লাদের ডাক চিৎকারে মুখরিত থাকতো এ জনপদ। শুধু তাই নয়, এ খালটি এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।

 

পৌরসভা হওয়ার পর খালটিতে একটি বাঁধ দেওয়া হয়। এর পর থেকেই সঙ্কুচিত হতে থাকে খালের দুই পার। জোয়ার ভাটার পানি আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে বদ্ধ খালে পরিণত হতে থাকে। কচুরিপানায় ভওে গেছে খালটি। এখন একটি সুইজ দিয়ে কোনো মতে পানি আসলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এদিকে খালের দুই পার একশ্রেণীর অসাধু প্রভাবশালীরা প্রতিনিয়ত দখল করে নিয়েছে।

 

উচ্ছেদ অভিযানে কিছুটা দখলমুক্ত করা হলেও তা আবার দখল করে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। বর্তমানে বদ্ধ হওয়ায় কচুরিপানা ও পানি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন মৌসুমে নানা ধরণের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

 

 

এ ব্যাপারে গলাচিপা বন্দরের ব্যবসায়ী সুশান্ত দত্ত বলেন, ‘খালটি দখল মুক্ত করে ময়লা পরিষ্কার করে জোয়ার ভাটার পানি চলাচলের ব্যবস্থা করলে অনেক সুবিধা হত। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত গলাচিপায় কোনো ফায়ার সার্ভিস নেই। গত কয়েক বছরে ভায়াবহ অগ্নিকান্ডের সময় খালটির পানির জন্য রক্ষা পেয়েছে কয়েকশ দোকান ঘর।

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD